fvi‡Zi ivóªcwZ cÖbe gyLv¾©x‡K AvbyôvwbKfv‡e gyw³hy× mggvbbv
¯§viK cÖ`vb, evsjv‡`‡ki|
ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে রোববার ঢাকায় পা রাখেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, যার শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশেরই নড়াইলে।একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা প্রণব ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। ভারতের অনেক রাজনীতিকের মতো তখন মুক্তিকামী বাঙালির পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অবদান স্মরণ করে জিল্লুর রহমান বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি প্রত্যক্ষভাবে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে আপনার অমূল্য অবদানের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। সোমবার বঙ্গভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ তুলে দেন evsjv‡`‡ki gvbbxq রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। “তাই আজকের এ সম্মাননা আপনার অবদানের বিনিময় নয়। বরং সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে সামান্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ।”
এই সম্মাননায় অভিভূত প্রণব মুখোপাধ্যায় রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বলেছিলেন, “বহু দেশের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী কাজ করেছে। কিন্তু এই ধরনের সম্মাননা বাংলাদেশ ছাড়া কেউ দেয়নি।”সম্মাননা নিয়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের এই সফর প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করবে।বাংলাদেশে অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে একাত্তরের মতোই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন রাষ্ট্রপতি। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধের সময় প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ভারত সরকার জনগণ মানবিক সহায়থা ছাড়াও রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক সমর্থন দিয়েছিল।” “ভারতের এ সহায়তা ও সমর্থন আমাদের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছিল। ভারতের এ সহযোগিতা বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।” প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের দুঃসময়ের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেন শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে এই অঞ্চলের দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ভাগ্য একই সুতায় গাঁথা। তাই এ অঞ্চলে শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”
সম্মাননা অনুষ্ঠানের আগে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সম্মাননা অনুষ্ঠানের পর বঙ্গভবনে এক নৈশভোজে যোগ দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকায় আসেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বঙ্গভবনে যাওয়ার আগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনে যোগ দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ লজ ডিগ্রি দেয়া হয়।
সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ি নড়াইলে যাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। ওই দিন ঢাকা ছাড়ার আগে শিলাইদহে কবিগুরুর কুঠিবাড়ি, টাঙ্গাইলের ভারতেশ্বরী হোমসেও যাবেন তিনি।